দিন ২ (১৩ই ডিসেম্বর ২০১৬) – গ্রামে যাওয়া

খুব ভোরে রওনা দিতে হবে, কারন আমাদের প্লান দীর্ঘ। যাত্রী আমরা চার জন, আব্বা, আম্মা, খালাম্মা, আর আমি। প্লান মত সকাল সাতটার মধ্যেই আমরা ঢাকা থেকে বের হতে পারলাম। গাড়ি চলতে লাগলো কোনও রকমের জ্যাম ছাড়াই। সকাল দশটার মধ্যে আমারা কুমিল্লা পৌছালাম। হাইওয়ে হোটেল নুরজাহানে একটা বিরতি নিলাম। খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমরা আবার যাত্রা শুরু করলাম।

dsc_1379
খালাম্মা
dsc_1385
একজন সি এন জি চালক

আমাদের প্রথম গন্তব্য ছিল মাইজদি, আমার বড় খালার বাসায়। দুপুর নাগাত আমরা মাইজদি পৌছালাম। একটু ফ্রেশ হয়ে, দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। বড় খালাম্মা ও আমাদের সাথে যেতে চাইলে, আমরা তাকেও আমাদের সাথে নিয়ে নিলাম। দুপুরের খাবার শেষ করে আমরা আবার যাত্রা শুরু করলাম। এর পরের গন্তব্য হল নোয়াখালীর চর করমুল্লা। ওইখানে আমার দাদার কিছু জমি আছে যা বর্গা চাষি চাষ করেন। আব্বা আমাকে সেই জমি দেখাবেন।

dsc_1390
ভাতিজি
dsc_1393
ভাগ্নি
dsc_1394
বড় খালাম্মা
dsc_1397
আম্মা আর ভাতিজি
dsc_1398
শাইফুন আপা (খালাতো বোন)
dsc_1407
আব্বা
dsc_1410
আব্বা, তুহিন ভাই আর ভাতিজি
dsc_1412
দুই বোন
dsc_1415
তুহিন ভাই
dsc_1417
ভাতিজা
dsc_1419
ভাতিজি

গাড়িতে উঠা মাত্র আমার ঘুম পেয়ে গেল। যখন ঘুম ভাঙল, তখন দেখি আমরা পৌছে গেছি।

dsc_1421
শহীদ ভাই
dsc_1424
আব্বা
dsc_1427
আম্মা
dsc_1428
প্রথম গাইড
dsc_1440
খালের উপর জাল ফেলা আর মাচা করে থাকার ব্যবস্থা
dsc_1446
দুই গাইড

dsc_1431 dsc_1432 dsc_1434 dsc_1451 dsc_1455 dsc_1456 dsc_1463

গাড়ি থেকে নেমে দেখালাম আশে পাশে পুরো পুরি গ্রামাঞ্চল। এর মধ্যে বিশাল চাষের জমি। এর মাঝে কিছু জমি আমাদের। আব্বা জমিতে নিয়ে গেলেন। সীমানা গুলো দেখিয়ে দিলেন। আমি দেখলাম, জানিনা পরে কতটুকু মনে করতে পারব।

এর মাঝে আমি পটাপট কিছু ছবি তুলে নিলাম। আমার ছবি তোলা দেখে, কয়েকজন ছোট ছেলে আমার পিছন আসতে লাগলো। আমাকে গাইড করতে লাগলো। আমি তাদের গাইড অনুযায়ী যেতে লাগলাম।

আমাদের জমি যিনি বর্গা নিয়েছেন তার নাম শহিদ ভাই। সেই শহিদ ভাই তার বাড়িতে নিয়ে গেলেন। আগে তার বাড়িতে যেতে একটা চিকন বাশের সাঁকো পার হতে হতো, যা আমার কাছে ভয়াবহ আতংকের ছিল। তবে সেটা এখন একটু চওড়া হয়েছে, কিন্তু এখনও তা বাশের আছে।

সাঁকোটি যেই খালেও উপরে, সেটায় মাছ ধরার কয়েকটি জাল ফেলা আছে। আর খালের উপরে মাঁচা করে তাতে থাকার ব্যবস্থাও আছে।

ঘন্টাখানেক থেকে তারপর আবার যাত্রা শুরু করলাম। এইবার গন্তব্য সাঙ্কিভাঙ্গা, ফুফুর বাড়ি। আমার খুব পছন্দের একটা জায়গা।

dsc_1464

dsc_1465

dsc_1471
ফুফাতো ভাই আর তার ছেলে

সাঙ্কিভাঙ্গা পৌছাতে পৌছাতে শেষ বিকাল হয়ে গেল।  এর মধ্যে আম্মা বললেন তিনি নানা বাড়ি যাবেন, যা সাঙ্কিভাঙ্গা থেকে কাছে। আমি আবার কাছের একটা হাঁটে যেতে চাই। তার আম্মাদের নানা বাড়ি নামিয়ে দিয়ে আমি, আব্বা আর আমার ফুফাতো ভাই সেই হাঁটে রওনা দিলাম। হাঁটের নাম “দাশের হাঁট”। মোটামুটি বেশ বড় হাঁট। আমরা হাঁটের ভিতর দিয়ে হাটতে থাকলাম। যেহেতু আজকে হাঁটের দিন নয়, তাই ভিড় কম।

ঘন্টাখানেক থেকে আমরা রওনা দিলাম। প্রথমে আম্মা এবং খালাম্মাদের নানা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ফুফুর বাড়িতে ফেরত আসব। রাত আমরা ফুফুর বাড়িতে কাটাবো।

Please follow and like us: